বিরোধ নিষ্পত্তিতে ইউপি ভোটের ট্রাইব্যুনাল গঠন
প্রথম ধাপে স্থগিত থাকা ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভোটের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইউপি ভোটের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’-এ শুনানি করে নিষ্পত্তি করা হবে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসি’র আইন শাখার উপসচিব আফরোজা শিউলী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপে স্থগিত থাকা ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ‘সিনিয়র সহকারী জজ’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং ‘যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ’ এবং ‘অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার (ইউপি) আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৩ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন ও বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রথম ধাপের স্থগিত থাকা ১৬০টি ইউপি নির্বাচনের সব বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের ফল গেজেটে প্রকাশের তারিখ থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা যাবে এবং এভাবে কোনো মামলা দায়ের করা হলে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল মামলা দায়ের হওয়ার তারিখ থেকে একশত আশি দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়ে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হলে ওই ব্যক্তি রায় ঘোষণার তারিখ থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে পারবেন এবং এভাবে কোনো আপিল দায়ের করা হলে নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল দায়ের হওয়ার তারিখ থেকে একশ বিশ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। নিবার্চন আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে।
এসআর/জেডএস