দেশের পাহাড়-টিলা, বনাঞ্চল, গাছপালা, বন্যপ্রাণী এবং নদী সর্বোপরি পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা ও সংরক্ষণসহ প্লাস্টিক দূষণ রোধে এবং বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সেইভ ফিউচার বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— সবার সহযোগিতায় এবং সমন্বয় করে অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে; জলবায়ু শরণার্থীদের টেকসই পুনর্বাসন করা; সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান করা; উপকূল জুড়ে টেকসই ব্লক বাঁধ নির্মাণ করা এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশ, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অন্যতম। বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু। এসব শিশুরা অনিরাপদ ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এই শিশুদের জীবন এবং ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে তুলছে।

তারা আরও বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে হিমালয়ের হিমবাহ গলতে থাকায় সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং প্রাণঘাতী দুর্যোগ ঝুঁকি আরও বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, নদী ভাঙন, জলাবদ্ধতা ও পানি বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণা বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে দুই কোটিরও বেশি মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তু হতে পারে। সমুদ্রের উচ্চতা এক মিটার বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ২০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং এতে বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তারা বিশ্ব নেতাদের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, প্যারিস এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়ন করুন। অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনতে হবে। কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সবুজ জলবায়ু তহবিলে উন্নয়নশীল দেশের নেতারা যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সে প্রতিশ্রুতি পূরণ করুন। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিন। 

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সেইভ ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক নয়ন সরকার, প্রোগ্রাম অফিসার মো. মোফাজ আহমেদ, মিডিয়া এন্ড লজিস্টিক রকিবুল ইসলাম, হেড অফ লজিস্টিক মো. স্বপন, সদস্য মো. সোয়াইব সরকার, মো. রুহানুর ইসলাম প্রমুখ।

এমএইচএন/এইচকে