প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা : সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশ। ডিএমপির গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ মো. তারিকুজ্জামান ওরফে কনক নামের ওই আসামিকে গ্রেফতার করে।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রোববার দুপুর ৩টায় মিরপুর ১০০ ফিট এলাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ীবহরে হামলায় জড়িত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারিকুজ্জামানকে গ্রেফতার করে মতিঝিল জোনাল টিম।
গ্রেফতারকে আদালতে প্রেরণের আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান গোয়েন্দা এই কর্মকর্তা।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা জেলায় সমাবেশ করে কলারোয়া থানা হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছিলেন। কলারোয়ার তুলশীডাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা হয়। হামলার দিন গ্রেফতারকৃত তারিকুজ্জামান সকাল সাড়ে ৯টায় দলীয় থানা বিএনপির পার্টি অফিসে নেতাকর্মীর সঙ্গে মিলিত হন। পার্টি অফিসে নেতাদের মাধ্যমে জানতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়া থানার তুলশীডাঙ্গা হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাবেন। খবর পেয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কলারোয়া থানার তুলশীডাঙ্গায় মেইন রোডে যায়। অতঃপর একটি যাত্রীবাহী বাস অন্যান্য নেতাকর্মীদের মাধ্যমে রাস্তার মাঝে দাঁড় করিয়ে মেইন রোডে যানজটের সৃষ্টি করে।
কিছুক্ষণের মধ্যে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে এসে রাস্তার গাড়ির যানজট ছাড়ানোর জন্য আসেন এবং আস্তে আস্তে উক্ত বাসটি সরিয়ে ফেলেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর ওই যানজটে পড়ে। এ সময় অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও তৎকালীন এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের গাড়িসহ অন্যান্য গাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করে এবং অনেক নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কলারোয়া ইউনিট কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন থানায় মামলার জন্য এজাহার দেন। থানায় মামলা রেকর্ড না হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেন। পরে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। তবে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর ওই মামলা পুনরুজ্জীবিত হয়। বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় হয় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। ওই রায়ে সাবেক সাংসদ হাবিবুলসহ ৫০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়।
এমএসি/ওএফ