মেয়াদ আছে এমন প্যাকেটের ভেতরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। লোভ আর অবহেলার কারণে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওষুধসহ বিভিন্ন প্রসাধনী আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের পণ্য বলে বিক্রি করা হলেও নেই আমদানিকারকের স্টিকার। পণ্যগুলো আলস না নকল নেই চেনার উপায়।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীর অভিজাত এলাকায় মেডিসিন মার্ট ও ওয়েলনেছ ফার্মেসিতে অভিযানের সময় এমন অনিয়মের প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠান দুটিকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।    

অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তার সঙ্গে ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।

মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিনব কায়দায় তারা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। একটি ওষুধের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ আছে। কিন্তু ভেতরের ওষুধ বের করে দেখা গেল পাতায় মেয়াদ নেই। এমন বেশ কয়েকটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। ওষুধ একটি স্পর্শকাতর পণ্য। সামান্য লোভের কারণে জীবন রক্ষাকারী পণ্যে মানুষের মরণ হচ্ছে। এটা খুব বড় অন্যায়।


এছাড়া তারা অনেক বিদেশি ওষুধ ও প্রসাধনী পণ্য বিক্রি করছে। আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ডসহ উন্নত দেশের পণ্য বলছে। কিন্তু পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের কোনো স্টিকার নেই। এটি আসলে বিদেশি পণ্য নাকি চকবাজারের অবৈধভাবে তৈরি হওয়া নকল পণ্য তা বোঝায় উপায় নেই। এসব অপরাধে মেডিসিন মার্টকে ৭৫ হাজার টাকা ও ওয়েলনেছ ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করার পাশাপাশি ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা যেন না করে এ বিষয়ে সকর্ত করা হয়েছে।  

এসআই/জেডএস