পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে অ্যাপ-বেইজড ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ (ডিআরডিইউ)। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, বাড্ডায় হয়রানির জন্য একজন চালক তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনাও যদি পুলিশকে নাড়া না দেয়, তাহলে কি আত্মাহুতি দিলে তাদের বিবেক নাড়া দেবে? গাড়ি কোথাও ব্রেক করলেই সেখানেই ধরে ফেলে ট্রাফিক পুলিশ। সরকার আমাদের জায়গা নির্ধারণ করে দিক। তাহলে আমরা যত্রতত্র দাঁড়াব না। আমাদের শহর অনুযায়ী যতটুকু জায়গা দেওয়া যায় ততটুকু দেওয়া হোক। যদি ১০টা স্পট দেওয়া হয়, আমরা সেই ১০টাতেই দাঁড়াব। 

এটি আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি উল্লেখ করে ডিআরডিইউ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ষষ্ঠবারের মতো আন্দোলনে যাচ্ছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব।

তাদের দাবিগুলো হলো 

১. অ্যাপস-নির্ভর শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি, কর্ম ও সময়ের মূল্য দেওয়া।

২. সব ধরনের রাইডে কমিশন ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা, মিথ্যা অজুহাতে কর্মহীন করা থেকে বিরত থাকা।

৩. ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহন দাঁড়ানোর জায়গা করে দেওয়া।

৪. সব ধরনের পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।

৫. তালিকাভুক্ত রাইড শেয়ারকারী যানবাহনগুলোকে গণপরিবহনের আওতায় অ্যাডভান্সড ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) মুক্ত রাখা।

৬. গতবছর গ্রহণ করা সব এআইটি তালিকাভুক্ত যানবাহন মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া।

সোমবার রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস পাঠাওয়ের শওকত আলম সোহেল নামে মোটরসাইকেল চালক ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দেন। পরে ওই চালককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পিএসডি/জেডএস