নিম্নমানের অক্সিমিটার-থার্মোমিটার বিক্রি, কালোবাজারি আটক
রাজধানীর মিরপুর থেকে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ কালোবাজারি চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তার নাম মো. কাওছার হামিদ মুন্না (২৯), বাড়ি ফেনীতে।
র্যাব জানায়, আটক মুন্না কালোবাজারি চক্রের মূলহোতা। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি দল মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় মুন্নার কাছ থেকে নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি- ২৪৩০টি পালস্ অক্সিমিটার ও ১৮৬টি ইনফারেড থার্মোমিটার জব্দ করা হয়।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেক হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক মুন্না দীর্ঘদিন ধরে অধিক মুনাফার আশায় নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বিক্রয় করছিল। যার মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
জব্দ মালামাল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বোর্ডের অনুমোদন, ট্রেড লাইসেন্সে কী ধরনের ব্যবসার উল্লেখ, জয়েন ষ্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন, মহাপরিচালক ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের এনওসি, মহাপরিচালক ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।
জব্দ করা মালামালগুলো ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে পরীক্ষা করে জানা যায়, জব্দ জাম্পার পালস্ অক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটার সবার দেহে একই তাপমাত্রা প্রদর্শন করে।
তিনি আরও জানান, জাম্পার পালস্ অক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটারগুলো নিম্নমানের। এগুলো ব্যবহারের যোগ্য নয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জেইউ/এমএইচএস