২০৪১ সালে দেশে অশিক্ষিত-বেকারত্ব থাকবে না
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, আমরা একটা পরিকল্পনা করেছি, কোন উপখাতে বা কোন খাতে আমরা বেশি গুরুত্ব দেবো তা নির্ধারণ করতে। আগামীতে আমরা প্রবৃদ্ধি হারের ওপর গুরুত্ব দেবো যার মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়বে। দেশ নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালে দেশে অশিক্ষিত থাকবে না, বেকারত্বও থাকবে না।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ‘শেখ হাসিনা : নেতৃত্ব, মানবিকতা ও দূরদৃষ্টি’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা ইতোমধ্যে এর প্রমাণ পাচ্ছি।প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন শুধু ২০২১ সালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তিনি বলেছেন আমরা উন্নত দেশ হব। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে তা ২০৪১ সালের মধ্যেই সম্ভব হবে। আজকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হারে সর্বনিম্ন, জেন্ডার ইকুয়েশনে বাংলাদেশ এগিয়েছে, নারীর ক্ষমতায় বেড়েছে তা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার কারণেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন। যা শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালে যারা দেশদ্রোহী ছিল তাদের বিচারের আওতায় এনে। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ রুখতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতিহত করে জনগণকে ভালবাসতে হবে। উগ্রবাদী রাজনীতি পরিহার করতে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি নেতৃত্ব নিজের ঘর থেকে শুরু হয়েছে। আমরা ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ প্রামাণ্যচিত্র দেখলেই বুঝতে পারি, শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি নেতৃত্ব ঘর থেকেই শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ তিনি যেভাবে সুরাহা করেছেন সেটা প্রশংসার দাবিদার। শেখ হাসিনা রাজনীতিকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে জনগণের কাছে নিয়ে এসেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সফলও হয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক মীজানুর রহমান।
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক আইজিপি ও কলামিস্ট একেএম শহীদুল হক, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, পিযুষ বন্দোপাধ্যায়সহ প্রমুখ।
এমটি/ওএফ