নরম মাটিতে জিওটেক্সটাইল মোড়ানো খাড়া বাঁধ ভূমিকম্প প্রতিরোধী এবং টেকসই। ভূমিকম্পের সময় বাঁধের বিভিন্ন স্তরের গতিশীল গুণাবলীতে কেমন পরিবর্তন হয় সেটা বিবেচনায় নিয়ে বাঁধ ডিজাইন করলে, বাঁধটি ভূমিকম্প প্রতিরোধী ও টেকসই হবে।

আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) পুরকৌশল বিভাগ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের নরম মাটিতে ভূমিকম্প প্রতিরোধী মোড়ানো বাধেঁর প্রয়োগ’ র্শীষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইবি পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর আর সঞ্চালনা করেন বিভাগের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদা, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুজ্জামান এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর রশীদ খান।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, মোড়ানো বাঁধটি বিভিন্ন জিওটেক্সটাইল দ্বারা প্যাঁচানো থাকে এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বালু (সিমেন্ট বালু অথবা লোকাল বালু) দ্বারা পূর্ণ করা হয়। বাঁধটি খাড়া হওয়ার কারণে প্রচলিত বাঁধের তুলনায় দুই পাশের কৃষিজমি অধিগ্রহণ করার প্রয়োজন হবে না। বাঁধটি তৈরি করার সময় ওভেন অথবা নন ওভেন জিওটেক্সটাইল ব্যবহার করা হয়। মোড়ানো বাঁধটি নরম মাটির গুণাবলির পারস্পারিক অবস্থান, ভৌগলিক অবস্থা এবং ইজিএলের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন লেয়ারের হয়ে থাকে। 

বক্তারা আরও বলেন, মোড়ানো বাঁধ সরকারের ব্যাপক জমি অধিগ্রহণ ব্যয় কমিয়ে দেবে। বাঁধটি খাড়া হওয়ার কারণে দুইপাশের জায়গা প্রয়োজন হবে না। এমন বাঁধ জলবায়ুসহিষ্ণু হবে অর্থাৎ বন্যা ও সাইক্লোনের আঘাত এটা সহ্য করতে পারবে। এমন বাঁধ জিওটেক্সটাইল দ্বারা মোড়ানো থাকার কারণে এবং বালুর সাথে ঘর্ষণ ডেভেলপ করা এবং পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে ইন্টারলক থাকার কারণে এটা প্রচলিত বাঁধের থেকে বেশি বন্যা ও সাইক্লোনের প্রভাব সহ্য করতে পারবে।  

জেইউ/এনএফ