কন্যাশিশুর উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য পরিবার থেকেই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কন্যাশিশুরা পরিবারে মা-বাবার সমর্থন পেলে তাদের শিক্ষা ও বিকাশের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকতে পারে না।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর আয়োজিত জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিবার শিশুর জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত ও অধিকার নিশ্চিত হওয়ার জায়গা। অথচ কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্য শুরু হয় পরিবার থেকে। পুরুষতান্ত্রিক মন-মানসিকতা ত্যাগ করার মাধ্যমে কন্যাশিশুর প্রতি এ ধরনের সব বৈষম্য দূর করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কন্যাশিশুরই রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। তারা সমান সুযোগ পেলে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারে। আজ বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার নারী। এছাড়া রাষ্ট্রের উচ্চ পদে নারীরা দায়িত্ব পালন করছেন।

মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাসের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, জয়িতা ফাউন্ডেশনের এমডি আফরোজা খান, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাকিউন নাহার বেগম, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুহিবুজ্জামান, কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি এবং মন্ত্রণালয় ও দফতর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। স্বাগত বক্তব্য দেন  অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. শেখ মুসলিমা মুন।

সভাপতির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নশীল বাংলাদেশে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্য করার কোনো সুযোগ নেই। নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হবে সমতার বাংলাদেশ।

এসএইচআর/এসএসএইচ