চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মূল নকশা ও অবয়ব অনুযায়ী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সংস্কার ও বিন্যাস আগামী ৯ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। 

তিনি বলেন, সংস্কার চলাকালে একুশে ফেব্রুয়ারিসহ অন্যান্য জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালন যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য একটি বিকল্প শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন মুসলিম ইনস্টিটিউট হল চত্বরে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান মেয়র। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল নকশানুযায়ী সংস্কার, বিন্যাস ও সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা ও জটিলতা নিরসনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। 

২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কে সি দে রোডে মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ভেঙে একটি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স বা সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণ করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এর কাজ শুরু হয়। 

প্রকল্পের অধীনে আছে, মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ও পাবলিক লাইব্রেরির অংশের পুরনো স্থাপনা ভেঙে ১৫ তলা গণগ্রন্থাগার ও আটতলা অডিটরিয়াম ভবন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কার, ২৫০ জন ধারণক্ষমতার একটি উন্মুক্ত গ্যালারিসহ মুক্তমঞ্চ, ক্যাফে ও ছোট জাদুঘর।

মতবিনিময় সভায় চসিক মেয়র মেয়র বলেন, বাঙালির আবেগ অনুভূতি ও ঐতিহ্যের স্মারক এ শহীদ মিনার। এই স্থাপনাটির যাতে পূর্ণাঙ্গ অবয়ব দৃশ্যমান হয় সে বিষয়ে উদ্যোগী হতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে কোনো কালক্ষেপণ না করে এখন থেকেই কাজ শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সংস্কার চলাকালে একুশে ফেব্রুয়ারিসহ অন্যান্য জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালন যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য চসিক পরিচালিত মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি বিকল্প শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

তিনি এই স্থাপনা নির্মাণের কাজ আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শুরু করার নির্দেশ প্রদান করে বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর বিকল্প শহীদ মিনারটিও থেকে যাবে এবং সেভাবেই এর স্থায়ী রূপ দেওয়া হবে।

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী। এতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, নাট্য ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সচিব অভিক ওসমান, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চবি সিনেট সদস্য মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, আব্দুল হালিম দোভাষ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য রিয়াজ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

কেএম/আরএইচ