সাবেক যুগ্মসচিব ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক (আইইএম) ড. আশরাফুন্নেছা

জাল ভাউচারে বিভিন্ন খাতে কেনাকাটায় পৌনে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় সাবেক যুগ্মসচিব ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক (আইইএম) ড. আশরাফুন্নেছার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১০ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ শাখার উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ড. আশরাফুন্নেছা ২০১৮ সালের ১২ মে থেকে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএম ইউনিটের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহারে ভুয়া ভাউচার করে ও প্রকৃত বাজারদর অপেক্ষা অধিক দরে বিভিন্ন খাতের সামগ্রী ক্রয়ের বিল দাখিল করেন। যার মাধ্যমে তিনি সরকারি এক কোটি ৭৬ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। 

এ কারণে দুদক তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেছে। তার বিরুদ্ধে সারাদেশে ওয়ার্কশপ, সেমিনার কিংবা প্রশিক্ষণের নামে বিভিন্ন বিল দেখিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সাত কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ ছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় আশরাফুন্নেছাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার চিঠি দেয় দুদক। 

২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগ যাচাইয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। একই অভিযোগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপপরিচালক (পিএম) জাকিয়া আখতার, উপপরিচালক (স্থানীয় সংগ্রহ) আবু তাহের মো. সানাউল্লাহ নূরী, সহকারী পরিচালক এ কে এম রোকনুজ্জামান ও গবেষণা কর্মকর্তা পীযূষ কান্তি দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

যদিও দুদকের মামলায় আশরাফুন্নেছা ছাড়া কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি, তবে এজাহারে বলা হয়েছে, তদন্তকালে কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে আসামি করা হবে। 

আরএম/আরএইচ