টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া ও টাকা ফেরত না দেওয়া ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এগুলোর মধ্যে ৩০ থেকে ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে রাখা হয়েছে নজরদারিতে। এসব প্রতিষ্ঠান যারা চালাচ্ছেন যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে।  

আজ (সোমবার) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। 

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সিআইডিও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছে। কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন পণ্য ডেলিভারি করছে না। কয়েকজন ভুক্তভোগী এ জন্য থানায় অভিযোগ করেছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ও সিআইডির অনুসন্ধানে ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। ৬০টির মধ্যে ৩০ থেকে ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিআইডির নজরদারিতে রয়েছে। 

এ ৬০টি প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত গ্রাহকদের কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, কত টাকা হাতিয়েছে এটা হিসাব না করে বলা যাবে না। পরবর্তীতে হিসাব করে জানানো হবে।

এর আগে সাশ্রয়ী দামে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল ও ইলেট্রনিক পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সরকারি অনুমোদনহীন ও লাইসেন্সবিহীন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘থলেডটকম’ ও ‘উইকমডটকম’র হেড অব অপারেশন মো. নজরুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের ৬ কর্মকর্তা গ্রেফতার করে সিআইডি।  

সিআইডি জানায়, বিজ্ঞাপনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরহরাহ করার শর্তে টাকা পরিশোধ করে ভুক্তভোগীরা। টাকা পরিশোধের ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ‘থলেডটকম’ ও ‘উইকমডটকম’ পণ্য সরবরাহ করেনি।

এআর/এনএফ