কুয়েত-ইরাক প্রত্যাগত ৭২ হাজার বাংলাদেশি দুর্দশায়
১৯৯০ সালে ইরাক-কুয়েত যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ৭২ হাজার কুয়েত-ইরাক প্রত্যাগত বাংলাদেশি দুঃখ-দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে। পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে কুয়েত-ইরাক প্রত্যাগত বাংলাদেশি শ্রমিকদের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- কুয়েত সরকারের ঘোষিত ৯ মাসের বেতন ও ১৬ বছরের সার্ভিস চার্জ আদায় করে প্রত্যাগত শ্রমিকদের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থা; ২৭৭টি অনুমোদিত সি ক্যাটগরির ফরমের টাকা দ্রুত বণ্টনের ব্যবস্থা করা; জাতিসংঘের ক্ষতিপূরণ কমিশনের অমিমাংসিত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা; ইরাকের কুয়েত আগ্রাসনে ৮৮৮ জন যুদ্ধবন্দী শ্রমিকের টাকা বণ্টনের ব্যবস্থা করা; যেসব শ্রমিক এ ফরমের এক হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার এখনও পাননি, তাদের টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করা; যেসব প্রত্যাগত শ্রমিক এখনও কোনো অর্থ পাননি তাদেরকে শনাক্ত করে দ্রুত টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা; বাংলাদেশ কনসোডিয়াম ও টেকনোকন কোম্পানিতে ১৯৯০ সালে কর্মরত সকল ইরাক প্রত্যাগতদের বকেয়া বেতন সরকারিভাবে আদায় করে বণ্টনের ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে কুয়েত-ইরাক প্রত্যাগত বাংলাদেশি কার্যনির্বাহী কমিটির আহ্বায়ক আবু আহমদে ভূইয়া বলেন, আমরা ১৯৯০ সালে প্রয়োজনের তাগিদে এবং দেশের উন্নয়নে নিজেদের ভিটেমাটি বিক্রি ও ধার-দেনা করে কুয়েত-ইরাকে পাড়ি জমিয়েছিলাম। কিন্তু ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের সময় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে। প্রত্যাবর্তনের পর থেকে দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে আমরা দিন কাটাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমরা জাতিসংঘের কাছে কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদনও করেছি। কিছু সংখ্যক প্রত্যাগতদের ১৯৯৬ সালে এক হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার ও ২০০০ সালে ২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এরপর জাতিসংঘ বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যাগতদের সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা যারা রয়েছি, তারা কোনো সহায়তা পাইনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুয়েত ইরাক প্রত্যাগত বাংলাদেশি কার্যনির্বাহী কমিটির আহ্বায়ক আবু আহমদে ভূইয়া, সুনামগঞ্জ শাখা সভাপতি মো. এনামুল হক, চাঁদপুর জেলার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এমএইচএন/ওএফ