চট্টগ্রাম রেলওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেছেন, রেলে পাথর নিক্ষেপকারীদের শনাক্তে কাজ চলছে, আমরা পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধে জনসচেতনামূলক কার্যক্রম চালু রেখেছি। কেউ সচেতন না হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকায় রেলওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিপেক্ষ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা রেললাইনের আশপাশের বসবাসকারী অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে আহ্বান করছি, তারা যেন সবাইকে সচেতন করে। পাশাপাশি কেউ রেলে পাথর নিক্ষেপ করলে তাকে যেন পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, অক্টোবরের ৭ তারিখ ফেনীর ফাজিলপুর রেলওয়ে স্টেশনে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এর পরপরই পুলিশ পাথর নিক্ষেপকারী শিশু আবদুল আজিজকে (৮) শনাক্ত করে। পরে তাকে ও তার বাবাকে আটক করে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী বলেন, পাথর নিক্ষেপ করলে রেলওয়ে আইনের ১২৭, ১২৮, ১২৯ এবং ১৩০ ধারার শাস্তির বিধান রয়েছে। কেউ অপরাধ করলে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা সবাইকে পাথর নিক্ষেপের মতো ঘৃণ্য কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত আছে এবং থাকবে বলেও উল্লেখ করেন এ পুলিশ সুপার।

তিনি বলেন, পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধে হটস্পট স্থানগুলো চিহ্নিত করে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুলের শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিদিন সভা করা হচ্ছে। এছাড়া পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ একটি অপরাধ। ১৮৯০ সালের বাংলাদেশ রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের জন্য যাবজ্জীবন জেল অথবা দশ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া উদ্দেশ্যমূলকভাবে পাথর নিক্ষেপের কারণে রেলযাত্রীর মৃত্যু প্রমাণিত হলে দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তদুপরি জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইন অনুযায়ী অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের অপরাধের ক্ষেত্রে অভিভাবকের শাস্তির বিধান রয়েছে।

কেএম/এসএম