বাংলাদেশি প্রথম আরটি-পিসিআর কিটের অনুমোদন
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় এই প্রথম বাংলাদেশে উদ্ভাবিত আরটি-পিসিআর কিটের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন (ডিজিডিএ)। করোনা শনাক্তকরণ এই কিটটি উদ্ভাবন করেছে বায়োটেক কোম্পানি ওএমসি হেলথকেয়ার (প্রা.) লিমিটেড।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমরা ওএমসি হেলথকেয়ারের আরটি-পিসিআর কিটের পারফরমেন্স স্টাডি করেছি। সবকিছু দেখে ঠিকঠাক মনে হওয়ায় গত ৩ জানুয়ারি আমরা এর অনুমোদন দিয়েছি। এখন থেকে তারা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন এবং সরবরাহ করতে পারবে।
• কিটটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের মিউটেশনের ধরন শনাক্ত করতে পুরোপুরি সক্ষম
• বিদেশ থেকে আনা কিটের চেয়ে ৩০-৪০ শতাংশ কম খরচে টেস্ট করা যাবে
• দিনে ৪০ থেকে ৫০ হাজার কিট উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে
বিজ্ঞাপন
ওএমসি হেলথকেয়ার জানিয়েছে, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নিয়ম শতভাগ মেনেই তৈরি করা হয়েছে এই আরটি-পিসিআর ভিত্তিক শনাক্তকরণ কিট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউএস সিডিসি নির্দেশিকা মেনে উদ্ভাবিত এই কিটটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের মিউটেশনের ধরন শনাক্ত করতে পুরোপুরি সক্ষম। যার ফলে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে এবং ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে এ কিট।
ওএমসি হেলথকেয়ার আরও জানিয়েছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত করতে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার কোনো বিকল্প নাই। ফলে বাংলাদেশে সুলভ মূল্যে প্রচুর টেস্ট কিট প্রয়োজন। বিদেশ থেকে আনা কিটের ভোক্তা পর্যায়ের দামের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম খরচে ওএমসি হেলথকেয়ারের কিট দিয়ে টেস্ট করা যাবে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে এ কিট।
ওএমসি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল কবির
এ বিষয়ে ওএমসি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল কবির বলেছেন, “আমাদের প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে এবং প্রয়োজনে এই সক্ষমতা বাড়ানো যাবে। কিটের সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করতে আমরা স্বয়ংক্রিয় অটোমেটিক প্রোডাকশন লাইন ব্যবহার করেছি।”
তিনি আরও বলেন, ঔষধ প্রশাসন এবং আইইডিসিআর এর সর্বাত্মক সহযোগিতায় কিটটির অনুমোদন দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যায়, ওএমসি হেলথকেয়ার কর্তৃক উদ্ভাবিত এই আরটি-পিসিআর কিট কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে এবং বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও উন্নত করবে।
টিআই/এইচকে