সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা। রামপুরা থেকে বাড্ডা হয়ে প্রগতি সরণির যতদূর চোখ যায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি। একটু পরপর থেমে থেমে গাড়ি চলছে, আবার দাঁড়িয়ে থাকছে দীর্ঘক্ষণ। এটি রাজধানীর ব্যস্ততম এ সড়কটির নিত্যদিনের চিত্র। তীব্র গরমে যানজটে আটকা পড়ে ত্রাহি অবস্থা যাত্রীদের।  

মেরুল বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা, লিংকরোড, উত্তর বাড্ডা, শাহজাদপুর, নতুন বাজারসহ গোটা প্রগতি সরণি ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

যাত্রী ও পথচারীদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিনই তীব্র যানজট দেখা দিচ্ছে। যানজটের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করে অফিস সময়ে। প্রতিদিন মালিবাগ রেলগেট থেকে নতুন বাজারে আসা যাওয়ার জন্য বাড়তি দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে বের হতে হয় যাত্রীদের। অথচ পুরো রাস্তাই ১৫-২০ মিনিটে অতিক্রম করার কথা।

এ পথে চলাচলকারী রাইদা পরিবহনের বাসের চালক মোকলেছুর রহমান বলেন, এ সড়ক ব্যবহার করে উত্তরা থেকে সায়দাবাদের দিকে আমরা চলাচল করি। কিন্তু যাওয়া এবং আসার সময় বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় ভয়াবহ যানজটে পড়তে হয়। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা এ সড়কে যানজট লেগে থাকে।

বেসরকারি চাকরিজীবী সাজেদুর রহমান প্রতিদিন মালিবাগ রেলগেট থেকে প্রগতি সরণি ধরে উত্তরার অফিসে যাতায়াত করেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রত্যেক দিন এই সড়কে তীব্র যানজটে আটকা পড়ে থাকতে হয়। অফিসে যাওয়া-আসার সময় এ ভোগান্তি নিত্যদিনের। যাওয়ার সময় মধ্যবাড্ডা, লিংক রোড, উত্তর বাড্ডা, শাহজাদপুর, নতুন বাজার এলাকায় তীব্র যানজট থাকে। ফেরার পথেও এ যানজটে ভুগতে হয়। দিন দিন এ ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়ছে।

যানজটের কারণ সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, এ সড়কে যানজটের প্রধান কারণ রিকশা চলাচল। কোনো সড়কে রিকশা চলাচল করলে যানবাহনের গতি এমনিতেই কমে যায়। তাছাড়া যেখানে সেখানে রাস্তা পারাপার হওয়াও অন্যতম কারণ। পথচারীরা যখন রাস্তা পার হন তখন গাড়ি থামিয়ে দিতে হয়। এ জন্য গতি কমে যানজট দেখা দেয়। 

তবে যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রগতি সরণিতে এমনিতে গাড়ির চাপ বেশি, সেই তুলনায় সড়ক তত প্রশস্ত নয়। তারওপর এই সড়কের কয়েক জায়গায় আছে অপরিকল্পিত ইউটার্ন। এছাড়া উপযুক্ত স্থানে প্রয়োজনীয় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন নেই; নেই যথা জায়গায় প্রয়োজনীয় ওভারব্রিজও। এর পাশাপাশি নতুন করে যুক্ত হয়েছে কয়েকটি স্থানে রাস্তার খোঁড়াখুঁড়ি। এসব কারণের সম্মিলিত প্রভাবেই সারাদিন জ্যাম লেগে থাকে প্রগতি সরণিতে। 

এএসএস/এসকেডি/জেএস