যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ফান্ড থেকে ৯ চেকের মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার পর এবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে প্রায় একই ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠলো।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১১টি চেকের মাধ্যমে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে বোর্ডের ফান্ড থেকে ২ কোটি টাকার বেশি অর্থ লোপাট করা হয়েছে বলে জানা যায়।

অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয় থেকে সোমবার (১৮ অক্টোবর) এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমানের নেতৃত্বে ওই অভিযান চালানো হয় বলে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) শফি উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১১টি চেকের মাধ্যমে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে বোর্ড ফান্ডের সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম সরেজমিনে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরিদর্শন করে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। তিনি টিমকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং দ্রুততম সময়ে মধ্যে অনুসন্ধানে জন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্ট চেক ও রিসিটসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সরবরাহ করবেন বলে অবহিত করেন।

তবে অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত দেয়নি দুদকের জনসংযোগ দফতর। চাহিদাকৃত নথিপত্র পাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শফি উল্লাহ।

এর আগে গতকাল (সোমবার) আয়কর ও ভ্যাট কর্তনের নামে মিথ্যা বর্ণনায় সরকারি আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযোগে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সচিবসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটি সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় আসামিরা হলেন- যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম এবং ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং মালিক শেখ শরিফুল ইসলাম বাবু ও শাহী লাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম। 

মামলার আগে গত ১০ অক্টোবর দুদক উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্ব একটি টিম যশোর বোর্ডে অভিযান চালিয়েছিল। ওই অভিযানে জালিয়াতির বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর মামলা করে দুদক।

আরএম/এসএম