রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষ থেকে গুলশান-বনানী- বারিধারা লেকের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে গুলশান সোসাইটি। সে লক্ষ্যে রাজউক ও গুলশান সোসাইটির মধ্যে পৃথক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকের ফলে রাজউকের পক্ষ থেকে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেকের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে গুলশান সোসাইটি। এছাড়াও রাজউকের মালিকানাধীন গুলশান লেক পার্ক ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে সোসাইটি। 

সমঝোতা স্মারকে গুলশান সোসাইটির পক্ষে স্বাক্ষর করেন সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ এবং রাজউকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। 

রাজউক ও গুলশান সোসাইটির এ যৌথ কার্যক্রম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের একটি প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে ইতোমধ্যে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে দাবি করেছেন আয়োজকরা।

তারা বলেন, ঢাকার অন্যতম আবাসিক কমিউনিটি গুলশান সোসাইটি। গুলশান এলাকার বাসিন্দাদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান এটি। গুলশানের বাসিন্দাদের বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে গুলশান সোসাইটি। 

আয়োজকরা জানান, ঢাকার অন্যতম প্রসিদ্ধ আবাসিক কমিউনিটি গুলশান সোসাইটির সঙ্গে লেক ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের সমঝোতা স্মারক ২০১৮ সালে প্রথম স্বাক্ষরিত হয়। লেক পার্ক ব্যবস্থাপনার সমঝোতা গত ২০০৫ সাল থেকে চলমান রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় বনানী-গুলশান-বারিধারা লেকের সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করে আসছে গুলশান সোসাইটি। লেকের পাড়ে গাছ লাগানো, দখলমুক্ত রাখা, লেকের পানি পরিষ্কার রাখা এবং ময়লা-আবর্জনামুক্ত রাখতে কাজ করছে গুলশান সোসাইটি।

এএসএস/এসকেডি