মোটরসাইকেলের মামলা এড়াতে করণীয়
ঢাকার মতো যানজটপূর্ণ শহরে মোটরসাইকেল অনেক মানুষের কাছেই জরুরি বাহন। ট্রাফিক জ্যাম পেরিয়ে দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে মোটরসাইকেলের বিকল্প নেই। আবার বহু মানুষ মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু ট্রাফিক নিয়ম না জানার কারণে অনেক সময় মামলা খেতে হয়। যা অনেকের কাছে ভোগান্তির বিষয়। এসব ঘটনায় রাজধানীতে একাধিক মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
যেসব কারণে মোটরসাইকেলের মামলা দেওয়া হয়
বিজ্ঞাপন
>> তিনটা পেপারের যেকোনো একটি না থাকলে অবশ্যই মামলা হবে। যথা- রেজিস্ট্রেশন পেপার, ট্যাক্স টোকেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স। এগুলোর মধ্যে ট্যাক্স টোকেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের অবশ্যই মেয়াদ থাকতে হবে, না হলে মামলা হবে। তবে, রেজিস্ট্রেশন পেপারের মেয়াদ লাগে না (একনলেজমেন্ট স্লিপের মেয়াদ লাগে)।
>> সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল ক্রয়ের পর নাম ও মালিকানা পরিবর্তন না করা হলে মামলা হবে।
>> লার্নার পেপার আছে কিন্তু পরীক্ষা, ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গার) না দেওয়া হলে মামলা হবে।
>> মোটরসাইকেল চালানোর সময় চালক ও আরোহী উভয়ের হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক। দুজনের কেউ বা একজন হেলমেট ব্যবহার না করলে মামলা হবে।
>> মোটরসাইকেল চালানোর সময় অবশ্যই ট্রাফিক/রোড সিগনাল মানতে হবে। নইলে মামলা হবে।
>> উল্টো পথে মোটরসাইকেল চলাচল করলে মামলা হবে।
>> যদি মোটরসাইকেলের ব্রেক লাইট না জ্বলে, ইন্ডিকেটর লাইট না থাকলে বা অকেজো হয়ে গেলে কিংবা রাতে হেড লাইট না জ্বালালে মামলা হবে।
>> মোটরসাইকেল চালানোর সময় মোবাইলে কথা বললে অথবা নেশা করে চালালে মামলা হবে।
>> অনুমতি ব্যতীত মোটরসাইকেলের কিছু পরিবর্তন করা, রঙ পরিবর্তন করলে, ভিআইপি হর্ন ব্যবহার, ফগ লাইট ব্যবহার, হ্যালোজেন লাইটের জায়গায় এলইডি হেডলাইট ব্যবহার করলে মামলা হবে।
>> মোটরসাইকেলে দুজনের বেশি মানুষ থাকলে মামলা হবে।
>> অবৈধভাবে মোটরসাইকেল পার্কিং করলে মামলা হবে।
>> সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করলে বা পুলিশের দায়িত্বে বাধা সৃষ্টির মতো কোনো কাজ করলে মামলা হবে।
>> ফুটপথে মোটরসাইকেল চালালে মামলা হবে।
>> লুকিং গ্লাস ও সেফটি গ্লাস না থাকলে মামলা হয়।
>> লেফট লেনের সঠিক ব্যবহার না করলে মামলা হবে।
>> স্টপেজ লাইন সঠিকভাবে না মানলে মামলা হবে।
>> তারিখ অনুযায়ী আগের মামলা নিষ্পত্তি না করলে মামলা হবে।
ওপরের বিষয়গুলো মেনে চললে সহজে মামলা এড়ানো সম্ভব। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করে এই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।
পিএসডি/ওএফ