গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত পিংক সিটির পাশে একটি ছয় তলা ভবনের নিচ তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৬টি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। আহতদের মধ্যে গুরুতর তিনজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে আগুনের ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছে৷ তবে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকেই পায়নি। আমরা যাওয়ার আগেই তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগুনের ঘটনায় সাতজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এদের মধ্যে কয়েকজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে জানতে। আমাদের একটি টিম এখন সেখানে যাচ্ছে। 

ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি তিনজন হলেন : মালিহা আনহা উর্মি (৩২), তার ছেলে মাসরুর মো. রাফিন (২) ও গৃহকর্মী মনি (৩৫)।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন বলেন, গুলশানের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ তিনজনকে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে মালিহা আনহা উর্মি ৭০ শতাংশ, তার ছেলে মাসরুর মো. রাফিন ৩০ শতাংশ এবং গৃহকর্মী মনি ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মালিহা আনহা উর্মি ও তার ছেলে মাসরুর রাফিনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এবং গৃহকর্মী মনিকে ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) পাঠানো হয়েছে। উর্মির স্বামী ডিএম রফিকুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, বুধবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে গুলশান-২ এর ১০৩ নম্বরের ৩৮ নম্বর ছয়তলা ভবনের ২য় তলায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর ১২টা ৪০মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এমএসি/এসএএ/এসকেডি