বাংলাদেশ সরকার মরুময়তা, ভূমি অবক্ষয় ও খরা মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। 

তিনি বলেছেন, পরিবেশ অধিদফতর ভূমি ব্যবহার মানচিত্র হালনাগাদ করণ, ভূমি অবক্ষয়ের কারণ ও সূচক চিহ্নিতকরণ, অবক্ষয় রোধ, প্রশমন বা পুনঃব্যবহার যোগ্য করণের মাধ্যমে ভূমি অবক্ষয়মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। ভূমি অবক্ষয় রোধ করার জন্য প্রণীত আলোচ্য রোডম্যাপে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে চিহ্নিত ৮টি থিমেটিক এরিয়ায় সমন্বিতভাবে কাজ করে ভূমি অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) পরিবেশ অধিদফতরে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল রোডম্যাপ ফর কমব্যাটিং ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ভূমি অবক্ষয় সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন সকল অংশীজনের কার্যকরী প্রচেষ্টা। এ লক্ষ্যে সাসটেইনেবল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটির মাধ্যমে পরিবেশ অধিদফতরের সাথে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সিইজিআইএস স্ব স্ব কর্ম পরিধির মধ্যে থেকে কাজ করছে। বাংলাদেশে অনেক টেকসই ভূমি ব্যবহার প্রযুক্তি আছে, যার মাধ্যমে আমরা ভূমি অবক্ষয় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হবো। ইকোসিস্টেম বেজড অ্যাপ্রোচেস টু অ্যাডাপ্টেশন কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ক্ষুদ্র আয়তনের বৃহৎ জনসংখ্যার এই দেশে ভূমির অবক্ষয় রোধ করতে আমাদের সবাইকে একযোগে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, প্রকল্প পরিচালক ড. মু. সোহরাব আলি, সাবেক সচিব প্রফেসর ড. জহুরুল করিম।

এমএইচএন/এনএফ