বিআরটিএ’র ২০১৫ সালের ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীতে সিএনজি অটোরিকশার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সংগ্রাম পরিষদ।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পরিষদের আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— বিআরটিএ’র ২০০৭ সালের ঘোষণা অনুযায়ী অটোরিকশা চালকদের নিবন্ধন বাস্তবায়ন করা; সিএনজি অটোরিকশা চালককে নামমাত্র সরল সুদে দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাংক ঋণ দিতে হবে। ঋণের ৫০ শতাংশ টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে; চালক ছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন (ব্লু-বুক) প্রদান চলবে না; ইয়েস পার্কিং না দেওয়া পর্যন্ত নো পার্কিং মামলা ও মিটার মামলা দেওয়া যাবে না; সিএনজি চালকদের নিয়োগ পত্র দিতে হবে; নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে সহজ শর্তে ও অল্প অর্থে প্রদান করতে হবে; মহাসড়কে সিএনজি চলাচলের অনুমতি দিতে হবে; সড়কের খানাখন্দ রিপেয়ারিং করে জেব্রা ক্রসিং, স্পিড ব্রেকার ও রোড ডিভাইডার এবং শাখা সড়কে (এপ্রোচ) এরো চিহ্ন দৃশ্যমান রঙে রঙিন করতে হবে এবং দেশের সব সেতুতে টোল খরচ ৫০ শতাংশ করতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেও খাদ্য, বস্ত্র, ছেলেমেয়েদের শিক্ষার খরচ চালাতে পারছে না সিএনজি চালকরা। এমনকি ঘর ভাড়া দেওয়াও দায় হয়ে উঠেছে। সড়কে সিএনজি অটোরিকশার মালিক-প্রশাসন ও চাঁদাবাজ, দালালদের অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। মালিকরা অনৈতিকভাবে মাসে ২ বার জমা বৃদ্ধি করছে। এখন প্রতিদিন ১ হাজার ৬০০ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে যাত্রা শুরু করতে হয়।

তারা আরও বলেন, প্রায় এক হাজার সিএনজি মালিকের কাছে ঢাকা শহরের প্রায় এক লাখ সিএনজি চালক ও এক কোটি যাত্রী জিম্মি। যাত্রীদের ধারণা সিএনজি চালকরা যাত্রীদের ওপর জুলুম করে। কিন্তু চালকরা কতটা অসহায় সে কথা কখনো কেউ জানেই না, শুনেও না। নিয়োগপত্র না থাকায় চালকরা বছরে তিন চার বার বেকার হন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ, যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, ফোরকান, এ. আর জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএইচএস