স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আহমদীয়া জামাতের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের সন্মাননা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল (শনিবার) সকাল ১০টায় ঢাকার বকশী বাজারে আহমদীয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সন্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আহমদীয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের ন্যাশনাল আমীর আলহাজ্জ মওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী। অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে। 

এরপর একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন- অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক আলহাজ্জ আহমদ তবশির চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসানুল হক ইনু। 

তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারা মানবতার শত্রু। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থায়ী অবসান আবশ্যক। 
 
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান আবির আহাদ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, কলামিস্ট সেলিম সামাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ড. ওমর বিন আব্দাল আজিজ তামিম, তরুণ গবেষক মারুফ রসুল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ধর্মীয় অনেক সংগঠন রয়েছে কিন্তু আহমদীয়া জামাতের মতো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আর কোনো ধর্মীয় সংগঠনে আছে বলে আমাদের জানা নেই। আহমদীয়া জামাতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে কিন্তু কোন রাজাকার নেই। তারা আরো বলেন ধর্ম, বর্ণ, দল নির্বিশেষে সবাই যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছিল এবং সবাইকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন এই সম্প্রীতির বন্ধনে যেন কেউ ফাটল সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। 

অনুষ্ঠানে আহমদীয়া জামাতের সদস্য ৬১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সন্মাননা এবং ৫ জন শহীদকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়।  

এনএফ