কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে সোমবার (১ নভেম্বর) থেকে কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

রোববার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে মশক পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা শেষে মেয়র সংশ্লিষ্ট সবাইকে ১ নভেম্বর থেকে কিউলেক্স নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। 

মেয়র তাপস বলেন, সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও কার্যক্রমের ফলে এডিস মশার লার্ভার উৎসস্থল ধ্বংস করা, ব্যাপক আকারে চিরুনি অভিযান পরিচালনা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ফলে আমরা দ্রুততার সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় একেবারে অনুল্লেখযোগ্য ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিত হচ্ছে। কিন্তু শীত মৌসুম কড়া নাড়ছে। তাই ঢাকাবাসীকে কিউলেক্স মশার উৎপাত থেকে নিস্তার দিতে সোমবার থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে কীটনাশক মজুদ, প্রয়োজনীয় জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, আমরা মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে শুধু লোকবলই বাড়াইনি বরং প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতিও কেনা হয়েছে। পর্যাপ্ত কীটনাশকও মজুদ আছে। মশক কর্মী ও সুপারভাইজারদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সদ্য ক্রয় করা নতুন ২৫টি হুইল-ব্যারো মেশিন আমাদের এই কার্যক্রমে সংযুক্ত হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, এর মাধ্যমে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি সফল হব।

গত সপ্তাহে দক্ষিণ সিটির দশটি অঞ্চলের মশক কর্মী ও সুপারভাইজারদের মশক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে আগের ১২টি হুইল-ব্যারো মেশিনসহ মোট ৩৭টি মেশিনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তাছাড়া প্রতি ওয়ার্ডে আরও ২টি করে নতুন ফগার মেশিন কিউলেক্স নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে যুক্ত হবে। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/জেডএস