চাঁদপুরে খ্রিস্টান সংগঠনের কেউ আমার সঙ্গে কথা বলে না। আমার সঙ্গে কেউ নেই। মা আমাকে বাঁচান। আমার কোনো উপায় নেই। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এসব কথা বলতে বলতেই অঝোরে কেঁদে ওঠেন চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সম্পাদক শলোমন মন্ডল। 

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তিনি মানববন্ধনের একটি ব্যানার নিয়ে দাঁড়ান। সঙ্গে শুধু তার স্ত্রীই ছিলেন। স্ত্রীর হাতেও একটি ব্যানার ছিল। 

শলোমন মন্ডল বলেন, আমি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। চাঁদপুরে একটি ছোট দোকান নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করি। পাশাপাশি চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। চাঁদপুরে আমাদের ট্রাস্টের একটি জমি আছে। উপাসনালয় ও সামাজিক কাজের জন্য ওই জমি দান করা হয়েছে। অথচ ওই জমি বিনিময় করে ট্রাস্টের সম্পাদক রেভা. লিয়র প্রতিম সরকার অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। 

তিনি বলেন, এ তথ্য আমি দুদক কার্যালয়ে দেওয়ার কারণে ও চাঁদপুরের ডিসির সঙ্গে কথা বলে মামলা করার কারণে তারা আমাকে খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছেন। সবাইকে তারা বলে দিয়েছেন, কোনো খ্রিস্টান লোক যেন আমার সঙ্গে কথা না বলেন। 

শলোমন মন্ডল বলেন, সর্বোচ্চ আদালত আমাকে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু আমার সামর্থ্য নেই একজন উকিল পরিচালনা করার। সবকিছু শেষ করে ব্যাগ নিয়ে ঢাকায় এসেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে মিনতি করি, মা আমাকে বাঁচান, আমার আর কোনো উপায় নেই। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আত্মহত্যা করব, মরে যাব। কিন্তু আমার স্ত্রী আমাকে ফিরিয়ে এনেছে।

এমএইচএন/আরএইচ