চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরে নালায় পড়ে ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদের (৫০) নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) দায়ী।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ দুই সংস্থাকেই দায়ী করা হয়েছে বলে বুধবার (৩ নভেম্বর) জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার (১ নভেম্বর) বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। মুরাদপুরে যারা কাজ করছে, তাদের গাফিলতি ছিল। জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজের জন্য সিডিএ এক বছর আগে স্ল্যাবগুলো ভেঙে ফেলে। কিন্তু নালার কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়নি। আর সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকায় আয়োজন রেস্টুরেন্টের সামনে পা পিছলে নালায় পড়ে যান ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদ। দুর্ঘটনাস্থলের ওই নালায় কোনো স্ল্যাব ছিল না। এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, ছালেহ আহমেদ একটি বাস থেকে নেমে নালার পাড় ধরে হেঁটে আসছিলেন। হঠাৎ কোনো কারণে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে পা পিছলে নালায় পড়ে যান। এসময় এক লোক তাকে টেনে ধরতে হাত বাড়িয়েছিলেন কিন্তু তিনি আর উঠতে পারেননি।

নালায় পড়ে নিখোঁজ ছালেহ আহমেদের এখনও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ঘটনাটি তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশনা দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছিল। মন্ত্রিপরিষদের চিঠি পাওয়ার পর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ২ অক্টোবর সাত সদস্যের তদন্ত একটি কমিটি করা হয়।

ছালেহ আহমেদ নগরীর চকবাজারের কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। এ ঘটনার পর তার বাসায় সান্ত্বনা দিতে গিয়ে পরিবারের একজনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মেয়র। সেই অনুযায়ী ছালেহ আহমেদের ছেলে মহিমকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

কেএম/এসএসএইচ