জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো গণপরিবহনের ধর্মঘট চলছে। এতে করে সড়ক পথের যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। দূরপাল্লার যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে এখন শেষ ভরসা ট্রেন। তাই অন্য সময়ের তুলনায় রেলস্টেশনে বেড়েছে ভিড়। এমন পরিস্থিতিতে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার জানিয়েছেন, ‘যাত্রীর যত চাপই হোক, আমরা সাধ্যমত সেবা দেবো।’

শনিবার (৬ নভেম্বর) কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের যেন দাঁড়ানোর জায়গা নেই।

স্টেশনে আসা আশরাফুল নামে এক যাত্রী জানান, আমি শ্রীমঙ্গলে চাকরি করি। মা অসুস্থ থাকায় তাকে দেখতে ঢাকায় এসেছিলাম। গতকাল ফেরার কথা থাকলেও ধর্মঘটের কারণে যেতে পারিনি। রোববার অফিসে উপস্থিত থাকতেই হবে। তাই আজ বাধ্য হয়ে স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছি।

চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছিলেন রাবেয়া। স্টেশনের বাইরে তার সঙ্গে কথা হয়। রাবেয়া বলেন, আমার হাঁটুতে ব্যথা। ঢাকায় এসেছিলাম চিকিৎসার জন্য। এখনো টিকিট পাই নাই। স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে যেতে হবে।

টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের কাছে যে টিকিট ছিল ইতোমধ্যে তা শেষ হয়ে গেছে। এখন স্ট্যান্ডিং টিকেট দেওয়া হচ্ছে।

স্টেশনের প্রবেশপথে রে‌লের প্রায় সাত জনকে দেখা গেছে স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি করছে। এদের মধ্যে একজন জানান, গণপরিবহন বন্ধ, মানুষ যেভাবেই হোক গ্রামে যাবে। আমরা অতিরিক্ত টিকিট দিচ্ছি। মানুষ যেহেতু যাবেই, তাহলে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে যাক।

এসব বিষয়ে জানতে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে স্টেশনে যাত্রীদের বাড়তি চাপ। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় বেড়েছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। যাত্রীদের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে ২২টি অতিরিক্ত কোচ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

এসআই/এমএইচএস