ক্লাইমেট টেকনোলজি সেন্টার অ্যান্ড নেটওয়ার্কের (সিটিসিএন) কাজকে সমর্থন করে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সদস্য দেশগুলো। বুধবার (১০ নভেম্বর) ক্লাইমেট টেকনোলজি সেন্টার অ্যান্ড নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

সিটিসিএন জানায়, প্যারিস চুক্তির অনুচ্ছেদ ১০ বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সহযোগিতার সম্প্রসারণে সদস্য দেশগুলো আলোচনা করেছে। সিটিসিএনের সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- জার্মানি, জাপান, কোরিয়া, স্পেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সিটিসিএন জানায়, ইউকে সিওপি প্রেসিডেন্সি, চিলি ও ডেনিশ সরকার দ্বারা আয়োজিত এই বৈঠকটি স্বল্প-কার্বন এবং জলবায়ুর উন্নয়নে প্রযুক্তি ব্যবহারে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সমর্থন প্রয়োজন। সিটিসিএন আলোচনায় গ্রিন প্রযুক্তি স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ কর্মীদের সক্ষমতা গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে।

সভায় জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসেন বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নত প্রযুক্তি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের জলবায়ু মহাপরিচালক এলিনা বারড্রাম বলেন, ইউরোপীয় কমিশন সিটিসিএনের সূচনা থেকেই সবচেয়ে বড় সহযোগী। কপের আলোচনার কারণে প্রযুক্তির উন্নয়নে সমস্যার সমাধান হবে।
  
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট পার্টনারশিপ অফিসের ডিরেক্টর তোশিয়াকি নাগাতা বলেছেন, একটি স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে জাপান সিটিসিএনের সবচেয়ে বড় দাতাদের মধ্যে একটি। আমরা প্রতিবছর জলবায়ু খাতে আর্থিক অবদান রাখছি এবং বাজেট অনুমোদন সাপেক্ষে, আমরা পরের বছরও সিটিসিএন কার্যক্রমে অবদান রাখতে চাই।
  
যুক্তরাজ্যের রিপাবলিক অফ কোরিয়ার দূতাবাসের অ্যাটাশে মুঙ্গি চোই বলেছেন, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র মনে করে সিটিসিএন বিশ্বব্যাপী জলবায়ু প্রযুক্তি সহযোগিতার জন্য একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম। যেখানে জলবায়ু প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার তথ্য ভাগাভাগি করা হয়। কোরিয়া আগামী পাঁচ বছরে সিটিসিএনকে সমর্থন করবে।

জলবায়ু বিষয়ক ডেপুটি বিশেষ দূত জোনাথন পার্শিং বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি স্থাপনে সাহায্য করার মাধ্যমে দ্রুত গতিতে সিটিসিএন এ প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সম্মিলিত ক্ষমতাকে সমর্থন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এসআর/ওএফ