সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, হেমন্ত বাংলার প্রকৃতি ও জীবনধারায় যোগ করে এক অসাধারণ মাত্রা। নতুন ফসলের আগমনে প্রকৃতি সাজে বর্ণিল রূপে। নতুন ফসল প্রতিটি ঘরে ঘরে নিয়ে আসে নতুন আশা ও নতুন উদ্দীপনা। শুরু হয় নানা পালাপার্বণ। গ্রাম বাংলার এ উৎসব ক্রমান্বয়ে আমাদের নগরকেন্দ্রিক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পড়েছে। বাঙালির অন্যতম বড় এ অসাম্প্রদায়িক উৎসব এখন রূপ লাভ করেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ (মঙ্গলবার) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর মুক্তমঞ্চে জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ আয়োজিত ‘নবান্ন উৎসব ১৪২৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে দেশের সংস্কৃতি চর্চায় যে ভাটা পড়েছিল, করোনা-উত্তরকালে আমরা চেষ্টা করছি সংস্কৃতি চর্চা বেগবান করার মাধ্যমে তা পুষিয়ে নিতে। সেজন্য আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন করছি। 

তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে যে ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হবে।

জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদের সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তৃতা করেন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান সুজা। 

চিকিৎসার কারণে দেশের বাইরে রয়েছেন পর্ষদের সভাপতি লায়লা হাসান। অনুষ্ঠানে তার লিখিত শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করেন সহ-সভাপতি মানজার চৌধুরী সুইট। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদের সহ-সভাপতি সঙ্গীতা ইমাম।

অনুষ্ঠানে করোনাকালে প্রয়াত সংস্কৃতজনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

পিএসডি/এনএফ