‘নো মাস্ক নো সার্ভিসে’ করোনা মোকাবিলা করেছি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছি। নো মাস্ক নো সার্ভিস সফল হয়েছে বলেই আমাদের সফলতা এসেছে।’
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দেশে করোনার টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তিন মাস আগে থেকেই সব অফিস-আদালত, হাসপাতালে এই কর্মসূচি (নো মাস্ক নো সার্ভিস) শুরু করেছি। আমাদের অনেক পরে মাত্র এক সপ্তাহ আগে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সব অফিস আদালতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছেন।’
বিজ্ঞাপন
জাহিদ মালেক বলেন, এরইমধ্যে আমাদের দেশে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন এসেছে। ভারত সরকার দুঃসময়ে আরও ২০ লাখ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে। এজন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। এ পর্যন্ত যত ভ্যাকসিন উৎপাদন হয়েছে তার মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সবচেয়ে নিরাপদ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সুষ্ঠুভাবে টিকা দেওয়ার সব ব্যবস্থা নিয়েছি। এজন্য ৪২ হাজার নেতাকর্মী কাজ করছেন। টিকা গ্রহীতাদের নিবন্ধনের জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রথমে ডাক্তার, নার্স, সেনাবাহিনী, পুলিশ, মিডিয়াকর্মী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন। প্রতিজনের দুইটি করে টিকার ডোজ লাগবে। টিকা দেওয়ার পর যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে তাদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করে রেখেছি।
ভ্যাকসিন কার্যক্রমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
টিকা কার্যক্রম শুরু
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন।
এদিন দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বেক্সিমকোর আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা নিয়েছেন সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। তিনি কুর্মিটোলা হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিটের ইনচার্জ।
এরপর দ্বিতীয় টিকা নেন ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, তৃতীয় টিকা নেন স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত ডিজি নাসিমা সুলতানা, চতুর্থ টিকা নেন পুলিশ সদস্য দিদারুল ইসলাম, পঞ্চম টিকা নেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
টিআই/এফআর