সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে ইথিওপিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা শাখা। সোমবার (২২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহাম্মদ সুমন রেজা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির উদযাপন শুরু করেন।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের রূহের শান্তি ও মাগফিরাত কামনা এবং দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসে আসা অতিথিদের সামনে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহাম্মদ সুমন রেজা। স্বাগত বক্তব্যে  তিনি সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, অব্যাহত অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও সাফল্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন। 

এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক নির্মিত এবং সদর দফতর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর, ইএএলবিয়ের (বাংলাদেশ মিশন উইং) একটি প্রামাণ্য চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে রাষ্ট্রদূত প্রধান অতিথি হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সমাপনী বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর স্মরণীয় ও গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। সমন্বিত এ আক্রমণে একতাবদ্ধ হয় মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য ও দেশপ্রেমিক জনতা। পরাজিত হয় পাক বাহিনী।

মাতৃভূমির সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত আলোকপাত করেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব ও দক্ষতা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করায় তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

এনআই/আইএসএইচ