সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কেন্দ্র থেকে দেওয়া বরাদ্দ ঠিকাদারের মাধ্যমে সাব-ঠিকাদারের হাতে যায়। সাব-ঠিকাদার আবার তারও সাব-ঠিকাদারের হাতে দেয়। ১০০ টাকা বরাদ্দ দিলে গ্রামে পৌঁছায় ১০ টাকা। 

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সবার জন্য উন্নয়ন করছে। তবে উন্নয়নের পাশাপাশি কিছু অনিয়মও হচ্ছে। অনিয়মের বলয় ভাঙতে সরকার নানাভাবে কাজ করছে।

সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী এম এ মান্নান।

মন্ত্রী বলেন, সরকার স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করেছে বলেই গড় আয়ু বেড়ে ৭৬ হয়েছে। মাথাপিছু আয় ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। প্রকৃত হিসাব করলে মাথাপিছু আয় তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আমি বলতে পারি, পেছনে ফেরার সময় নেই। ২০৩০ সালে মাথাপিছু আয় ৪ হাজার মার্কিন ডলার ছাড়াবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমাজের মধ্যে ব্যালান্স নেই। মাথাপিছু আয় বাড়লেও লাভ নেই, যদি আয়ের সমবণ্টন না হয়। দেশে ধনী গরিবের বৈষম্য বাড়ছে। মেধাবী তরুণরা দেশে থাকতে চান না। সুযোগের অভাবে তারা এখানে মেধা চর্চা করতে পারেন না।

তিনি আরও বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি ও জবাবদিহিতার অভাব প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিয়েছে। অনেকে টাকা তৈরির মেশিনে পরিণত হয়েছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশে এসে ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। গণতন্ত্র না থাকায় সুশাসন হচ্ছে না। কাগুজে শান্তি বিরাজ করছে। মেগা প্রকল্প হচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু এগুলোর ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। 

ড. আব্দুল মঈন খানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার রুট লেভেল থেকে উন্নয়ন করছে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। করোনা সংকটে কেউ রাতে না খেয়ে ছিল, এমন সংবাদ কোথাও দেখিনি। আমি বৈষম্যের পক্ষে নই। ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র সবখানেই বৈষম্য আছে।

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মানজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

এসআর/আরএইচ