সমঝোতা বৈঠকের পর শিক্ষার্থী ফিরে পেল ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজ। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে ঢাকা কলেজ প্রশাসন ওই শিক্ষার্থীকে আইডিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।

বৈঠকে ঢাকা কলেজের আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সব ব্যয় আইডিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ বহনের প্রতিশ্রুতি দেয়। এছাড়াও ওই শিক্ষার্থীর ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেল মেরামত, নতুন মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইডিয়াল কলেজ ছাত্রদের আজীবন বহিষ্কার ও ভবিষ্যতে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের সামনে এসে কোনো আন্দোলন-কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না মর্মে মীমাংসাপত্র তৈরি করা হয়।

মীমাংসাপত্রে আইডিয়াল কলেজের পক্ষে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তরুণ কুমার গাঙ্গুলী, ঢাকা কলেজের পক্ষে উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) স্বাক্ষর করেন।

এ ঘটনাকে সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক উল্লেখ করে আইডিয়াল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মজিবর রহমান বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আমরা ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে একটা সুষ্ঠু সমাধান করতে পেরেছি। আমরা শিক্ষার্থীকে বুঝে পেয়েছি।কোনো দোষ-ত্রুটি থাকলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

এর আগে, গণপরিবহনে ‘হাফ পাসের’ (অর্ধেক ভাড়া) দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ঢাকা কলেজের মাস্টার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীকে ধরে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীকে ধরে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জানতে চেয়েছি এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কি-না। একইসঙ্গে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজেও জানতে চেয়েছি তাদের কোনো শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন কি-না। সবধরনের তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য দিনভর চেষ্টা করেছি। এই মুহূর্তে কলেজ ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থী সুস্থভাবে ফিরে গেছেন।’

আরএইচটি/ওএফ