ড. হাছান মাহমুদ

‌‘করোনার টিকার প্রায়োরিটি অনুযায়ী আমার অবস্থান কোথায় আমি জানি না। তবে যারা প্রায়োরিটি লিস্টে আছে তারাই তো পাবে প্রথমে। লিস্টের মধ্যে একটি জিনিস দেখেছি, ৫৫ বছরের বেশি বয়স্করা টিকা পাবেন। আমার বয়স ৫৫ এর বেশি। আমি টিকা পাওয়ার যোগ্য। যাদের টিকা পাওয়া খুবই জরুরি তাদের পর আমাদের অধিকার। যদিও ৫৫ বছর বয়স হিসেবে আমার একটা অধিকার আছে, তবে আমি মনে করি জনগণের অধিকার আগে।’

কবে করোনার টিকা নিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা এ প্রশ্ন করেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি দেশের যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার তারাই পাওয়ার অধিকার রাখে প্রথমে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা জনগণকে দিয়ে পরে নিব। তো আমিও ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি জনগণকে টিকা দেওয়ার পর...’

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে। আট সপ্তাহের ব্যবধানে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। দেশে যেহেতু এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির উপর এ টিকা প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

দেশে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে প্রথম টিকা দেওয়ার মাধ্যমে করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া দিনের প্রথম টিকা নিয়েছেন। ঢামেক, বিএসএমএমইউ ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ মোট ৪০০ জন টিকা নেবেন। এছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০০ ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে।

সব মিলিয়ে পাঁচ হাসপাতালে নির্দিষ্ট পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে করোনার টিকা দেওয়ার হবে। এর মধ্যে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী একটি বুথ বাকি চারটি হাসপাতালে চারটি করে বুথ বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার টিকা দেওয়ার পর এ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ কয় দিন টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।

এসএইচআর/ওএফ