চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, কাজীর দেউরী ও কর্ণফুলী কাঁচাবাজার আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে পলিথিনমুক্ত বাজার হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

সোমবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ী কাঁচাবাজারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নগরী থেকে পরিবেশ দূষণ ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী উপাদান পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে নগরবাসীর সহযোগিতা একান্ত অপরিহার্য।  পর্যায়ক্রমে নগরবাসীর সহযোগিতায় অন্যান্য কাঁচাবাজার, দোকানপাটগুলো এর আওতায় আনা হবে।

মেয়র বলেন, প্রাথমিকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মাইকিং, প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পরে এ নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানাসহ কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ২০ ফিট স্তরে পলিথিন জমাট হওয়ার কারণে জাহাজ চলাচলে যেমন বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য যে ড্রেজিং করার প্রয়োজন তাও প্রতিবন্ধকতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্ণফুলীকে না বাঁচাতে পারলে চট্টগ্রাম বন্দর অচল হয়ে যাবে। এর প্রভাব সারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেবে। 

রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব নগরী হিসেবে গড়তে এবং জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি পেতে হলে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বিকল্প হিসেবে পাট বা কাপড় বা নন-ওভেন ফেব্রিক্সের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করে সবাইকে সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. নুরুন্নবী বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ অধিদফতর অনেক কার্যক্রম হাতে নিলেও সিটি করপোরেশন মাধ্যমে পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে নগরবাসীর দুর্ভোগ অনেক লাঘব হবে। এতে পরিচ্ছন্ন নগর পাবে নগরবাসী।

অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক নুর মোস্তফা টিনু ও চসিকের পরিবেশ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন উপস্থিত ছিলেন। 

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ১ ডিসেম্বর থেকে এই তিনটি বাজারে পণ্য কেনাবেচায় পলিথন ব্যবহার করা হবে না।  

কেএম/জেডএস