সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী জোট ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, রাজধানীকে অস্থিতিশীল করতে জামায়াত-শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ২০১৩ সালে যেভাবে পেট্রোল বোমা মেরে বাসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে ঠিক সেভাবে আবারও বাসে আগুন দেওয়া শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে ফেরারি জীবন যাপন করছেন। দেশের মধ্যে তার সন্ত্রাসী বাহিনী রাতের আঁধারে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আজকে বাংলাদেশে আমরা একটি অপরাজনীতির অংশ দেখতে পাচ্ছি। তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার দাবিকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে।

তারা বলেন, আমরা দেখছি একদিকে বিএনপি নেতারা মানববন্ধন করছে, বিক্ষোভ সমাবেশ করছে, দিনের বেলা কর্মসূচি পালন করেছে। আবার তাদের বন্ধুরা, স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-শিবিরেরা রাতের আঁধারে আজকে আমাদের চলন্ত বাসের মধ্যে পেট্রোল বোমা মেরে যাত্রীদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করার চেষ্টা করছে। আজকে আমরা এই মানববন্ধন থেকে দাঁড়িয়ে সরকারকে বলতে চাই, দেশের সাধারণ মানুষ যাতে শান্তিতে চলাচল করতে পারে সে বিষয়ে আপনারা নিরাপত্তা জোরদার করবেন। পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির রাজপথে কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পালন করতে না পারে সেজন্য আপনারা ব্যবস্থা নিবেন। তা না হলে আমরা যারা স্বাধীনতার পক্ষে, স্বাধীনতার অসাম্প্রদায়িক চেতনা বুকে ধারণ করেছি তারা রাজপথে অবস্থান নিব। 

তারা আরও বলেন, আজকের এ মানববন্ধন থেকে আমরা শপথ নিতে চাই, প্রকাশ্য দিবালোকে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মীরা তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবে। আর রাতের আঁধারে তারেক রহমানের নির্দেশে টাকা খরচ করে জামায়াত শিবিরদের দিয়ে যাত্রীবাহী বাসে আগুন জ্বালিয়ে দিবে, গুলি করে সন্ত্রাসী হামলা চালাবে তা এ বাংলার মাটিতে কখনোই বাস্তবায়ন করতে দেব না।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতন, ৫৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোহাম্মদ হোসেনসহ শতাধিক আওয়ামী লীগ সমর্থক।

এমএইচএন/আইএসএইচ