গাজীপুরের টঙ্গীতে পুলিশের সোর্স জাকির হোসেনের তথ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ঝর্ণা আক্তারের (২১) মাদককারবারি স্বামীকে। এ কারণেই পরিকল্পনা অনুযায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়। হত্যায় ঝর্ণা আক্তারের সহযোগী ছিলেন মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী বিল্লাল হোসেন (২৭)।

সোর্স জাকির হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ঝর্না ও বিল্লালকে আটক করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোর ৫টায় র‌্যাব-১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন শিলমুন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদুল হাসান ঢাকা পোস্টকে জানান, গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মরকুন পশ্চিম পাড়া এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে পুলিশের সোর্স জাকির হোসেনের দুই উরু এবং শরীরের একাধিক স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান তিনি।

তিনি বলেন, জাকির হত্যাকাণ্ডে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-১। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার দুজনই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এর আগে মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জোড়া খুনের অপরাধে বিল্লাল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যায়।

অপর আসামি ঝর্ণা আক্তার গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। ভিকটিম সোর্স জাকিরের কারণে এলাকায় তাদের মাদক ব্যবসায় বিঘ্ন ঘটে। স্বামীকে আটকের পেছনে সোর্স ভিকটিম জাকিরের ভূমিকা রয়েছে বলে জানতে পারে ঝর্ণা। প্রতিশোধ হিসেবে ভিকটিম জাকিরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনায় সহযোগী হয় বিল্লাল।
 
ঘটনার দিন দুপুরে পরিকল্পনা মতো গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মরকুন পশ্চিম পাড়া এলাকায় জাকিরকে একা পেয়ে বিল্লাল তার কাছে থাকা ধারাল ছুরি দিয়ে জাকিরের দুই উরুতে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় নিকটস্থ টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় ভিকটিমকে। হাসপাতালেই ভিকটিমের মৃত্যু হয়।

জেইউ/জেডএস