বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহর ঘোষণা অনুযায়ী আজ (বুধবার) থেকে বাসে শর্তসাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সংবাদ সম্মেলন শুধু ঢাকায় চলাচল করা বাসে শিক্ষার্থীদের ১ ডিসেম্বর থেকে হাফ ভাড়া সুবিধা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। এরই প্রেক্ষিতে রাজধানীর মিরপুরের সরকারি ও বেসরকারি মালিকাধীন বাসে হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর- ১, ২, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর এলাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। স্কুল ড্রেস ও আইডি কার্ড থাকলেই বিনাবাক্যে অর্ধেক ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই হাফ পাস সুবিধা চালু থাকবে। রাত ৮টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা বাসে উঠলে পুরো ভাড়া দিতে হবে। 

বিআরটিসি পরিবহনের একটি বাসের সহকারী নাহিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মালিকের নির্দেশে হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আজ সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ পাস নেওয়া হচ্ছে। কোনো ঝামেলা হচ্ছে না। আইডি কার্ড বা স্কুল-কলেজের ড্রেস গায়ে থাকলেই হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ‘স্টুডেন্ট’ বললেই আমরা দশ টাকার ভাড়া পাঁচ টাকা নিচ্ছি। মালিকের নির্দেশ আছে, এখন থেকে এভাবেই চলতে হবে। তবে রাত ৮টার পর থেকে হাফ পাস বন্ধ হয়ে যাবে।

মিরপুর বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি কালশি থেকে কলেজে যাচ্ছি।  শিক্ষার্থী বলায় হাফ ভাড়া নিয়েছে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি হচ্ছে, হাফ ভাড়া যেন বন্ধ না হয় এবং সারা দেশেই যেন হাফ ভাড়া কার্যকর হয়।

২০১৮ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছিলেন। তাদের আন্দোলনের ৯টি দাবি ছিল। সেগুলোর একটি ছিল বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেওয়ার দাবি। এ দাবি বাস্তবায়নে বাধা ছিলেন বেসরকারি বাস মালিক নেতারা। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বিআরটিসিও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তবে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় আন্দোলনের চাপে এখন হাফ ভাড়া কার্যকর হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শুধু ঢাকা মহানগরী নয়, সারা দেশে সব বাসে হাফ ভাড়া চালুর দাবি জানিয়েছেন।

এসআর/এনএফ