নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি শাহ পরানকে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। প্রতিষ্ঠানটি তার নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোনো অবহেলা থাকলে অবহেলার সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদে জানা যায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১০ ধারায় মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী শাহ পরান সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

জানা যায়, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ শাহ পরান কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বাসে পাশের নারীযাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন। নারীযাত্রী পরে যখন এ ঘটনায় প্রতিবাদ করেন শাহ পরান এক পর্যায়ে ওই নারীযাত্রীর ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুল মুচড়ে দেওয়াসহ শারীরিকভাবে আঘাত ও শ্লীলতাহানি করেন।

গত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানায় শাহ পরানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের শিকার নারীযাত্রী মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহকারী পরিচালক পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় শাহ পরানকে।

নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি শাহ পরান সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় মহিলা পরিষদ বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একজন বিচারক বিচার বিভাগের বিচারিক কার্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন নারী নির্যাতনকারীকে কিভাবে নিয়োগ দেয়া হলো এবং কিভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়েছে এ বিষয়গুলো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

মহিলা পরিষদ শাহ পরানের নিয়োগ স্থগিত রেখে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন পর্যায়ে অবহেলা থাকলে অবহেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।

জেইউ/আইএসএইচ