দেশের ছয়টি বিদ্যুৎ কোম্পানির দায়ের করা ২১ হাজার ৮৩৮টি মামলা ঝুলছে গ্রাহকদের ঘাড়ে। এই মামলার বিপরীতে বকেয়া আছে ৫৯৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ টাকা। 

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্যানুযায়ী, কোম্পানিগুলোর মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের মামলার সংখ্যা বেশি হলেও তাদের বকেয়া অর্থের পরিমাণ কম। অপরদিকে ডেসকোর মামলার সংখ্যা কম হলেও অর্থের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। 

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে দেখা গেছে, পল্লী বিদ্যুতের ৯ হাজার ৮৪৫টি মামলায় অর্থের পরিমাণ ৩২ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৪ টাকা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চার হাজার ৪৬৬টি মামলায় অর্থের পরিমাণ ৫৮ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ১৩৪ টাকা, ডিপিডিসির তিন হাজার ৫৩৮টি মামলায় অর্থের পরিমাণ ১৮৪ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৯৭ টাকা, ডেসকোর ১৪টি মামলায় অর্থের পরিমাণ ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬২ টাকা, নেসকোর তিন হাজার ৯৮৮টি মামলায় অর্থের পরিমাণ ৪৩ কোটি ৯১ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ টাকা এবং ওজোপাডিকোর ৪৭টি মামলায় অর্থের পরিমাণ ১১৪ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৮ টাকা।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ছয়টি বিদ্যুৎ কোম্পানি মোট ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৪টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে। বিতরণ সংস্থাগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে তাদের সব মিটার প্রিপেইড করার টার্গেট নির্ধারণ করেছে।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে কমিটি বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক ক্যাবল স্থাপনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপনের সুপারিশ করেছে। এছাড়া গণপরিবহনে কোন জ্বালানি কী পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে তার প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত জানতে জরিপের জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি। বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতি মারা যাওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী বৈঠকে রির্পোট প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপির সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির, এস এম জগলুল হায়দার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান। 

এইউএ/ওএফ/জেএস