বিভিন্ন সরকারী দফতর-অধিদফতরে আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর ও স্থায়ী করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সচিবালয় লিংক রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো আউটসাের্সিং নীতিমালা অনুযায়ী সেবা নেওয়া ও সেবা ক্রয়কারীর মধ্যে ঠিকাদারকে না রাখা; আউটসাের্সিং প্রথা বন্ধ করে আউটসাের্সিং ও দৈনিক মুজুরি ভিত্তিক নিয়ােজিত সকল কর্মচারীদের চাকরি পর্যায়ক্রমে বয়স শিথিল করে স্থায়ী করা; সরকারী দফতর-অধিদফতর পরিদফতরে বিনা অপরাধে বা ঠিকাদারকে ঘুষ না দিতে পারায়, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে চাকরিতে পূর্নবহাল করা; উৎসব, বােনাসসহ সকল ভাতা দেওয়া ও আউটসাের্সিংয়ে কর্মরত সকল কর্মচারীদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশােধ করা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে দাস প্রথায় মানব বেচা-কেনা না করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আউটসাের্সিংয়ে নিয়ােজিত সরকারি দফতর-অধিদফতরের কর্মচারীদের দুঃখ দুর্দশা অনেক। টেন্ডার জটিলতায় কর্মরত অনেকের চাকরি চলে যায়, বছর শেষে জুন মাসে চাকরি নবায়ন করার নামে বিপুল অঙ্কের ঘুষ দাবি করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, সেটি দিতে না পারলে চাকরি চলে যায়। প্রতি মাসে ঠিকমত বেতন পাইনা, কখনাে কখনাে ৬ মাস থেকে ২ বছরও পরর বেতন বকেয়া থাকে।

বক্তারা বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি থেকে বঞ্চিত হয় আউটসাের্সিং বােনেরা এবং মাতৃকালীন সময় কর্মস্থলে উপস্থিত না হতে পারলে সেই বােনটি চাকরিচ্যুত হয়। কোন অপরাধ ছাড়াই বিনা কারনেই কথায় কথায় চাকরি চলে যায় দক্ষ কর্মচারীদের। সরকারী দফতর-অধিদফতর পরিদফতরে ইতিমধ্যে অনেকেই বিনা অপরাধে এবং ঠিকাদারকে ঘুস না দিতে পারায় চাকরিচ্যুত হয়েছেন।

তারা  প্রত্যাশা করে বলেন, এই মানুষগুলো ঝুঁকি ভাতা ও প্রনােদনাসহ ঈদ বােনাস, বৈশাখী ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক 
অ্যাকাউন্টে বেতন বিল পরিশােধ করার কথা বললেও ঠিকাদাররা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না দিয়ে হাতে হাতে টাকা দিয়ে থাকে। আর ব্যাংকের চেক আউটসাের্সিং কর্মচারী থেকে আগে নিয়ে রাখেন। আমরা এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

মানববন্ধনে পরিষদের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান আনিস, সাধারণ সম্পাদক এম এম জীবনসহ শতাধিক আউটসোর্সিং কর্মজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/আইএসএইচ