রাশিয়ান নাবিক রেডকিনের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী লালদীঘি পার্কে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নাবিক রেডকিনের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তারা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিজ্ঞাপন
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে হানাদার বাহিনী কর্তৃক কর্ণফুলীর বন্দর চ্যানেলে পুঁতে রাখা মাইন সরাতে গিয়ে আকস্মিক বিস্ফোরণে ১৯৭৩ সালে প্রাণ হারান রেডকিন।
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী ভবনে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত চসিক মেয়র কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন। এ সময় সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন নাবিকের আত্ম বিসর্জনকে দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মৈত্রীর বন্ধনকে মর্যাদাপূর্ণ ও সুদৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের কূটনৈতিক অবদান ও ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, একাত্তরে হানাদার বাহিনী তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশের অর্থনীতি পঙ্গু করার অসৎ উদ্দেশ্যে কর্ণফুলীর বন্দর চ্যানেলে শত শত মাইন পুঁতে রাখে। চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলকে সচল করার জন্য একে মাইন মুক্ত করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদের আহ্বানে সাড়া দেয়। তাদের নাবিকদের একটি দলের মাইন মুক্ত করার সফল অভিযানের ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল আশঙ্কা মুক্ত হয়ে গতিশীলতা ফিরে পায়। এজন্য রেডকিনের আত্মত্যাগ আমরা কখনো ভুলতে পারি না। তিনি শুধু বন্ধু নন, বাঙালির পরমাত্মীয়।
এ সময় রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি বলেন, বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোড মডেল। বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে আমরা গর্বিত। তিনি এতদিন পরও তাদের নাবিক রেডকিনকে স্মরণ রাখায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাশিয়ান অনারারী কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, রুমকি সেন গুপ্ত প্রমুখ।
কেএম/এইচকে