আগামী ৫০ বছ‌রে বাংলা‌দেশ ও ভার‌তের বন্ধু‌ত্বের ভি‌ত্তি ও ইতিহাস‌ গ‌ড়ে তুল‌তে দু‌দেশ‌কে একস‌ঙ্গে অনেক কিছু কর‌তে হ‌বে। 

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জা‌তিক স‌ম্মেলন কে‌ন্দ্রে মৈত্রী দিবস পালন অনুষ্ঠা‌নে এ কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভার‌তের হাইক‌মিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

তিনি ব‌লেন, গত এক দশকে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছি। বাংলা‌দেশ ও ভারত রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, উন্নয়নমূলক, সাংস্কৃতিক, নিরাপত্তা এবং এমনকি মানুষে-মানুষে সংযোগের ক্ষেত্রেও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ অংশীদার। আমাদের এখন নিশ্চিত করতে হবে যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এ ইতিহাস বুঝতে পারে।

বিক্রম দোরাইস্বামী ব‌লেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিয়েছে। এটি আমাদের আদর্শিক মানচিত্রকেও বদলে দিয়েছে। বাংলা‌দে‌শের স্বাধীনতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে, অভিন্ন সংস্কৃতি, সভ্যতা এবং ভাষার বন্ধন ভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর একস‌ঙ্গে থাকতে না পারার মতো মিথ্যা তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে। বাংলা‌দে‌শের মুক্তি সংগ্রাম বর্বরতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায়ের বিজয়ের অনিবার্যতা প্রমাণ করেছে।

বি‌শ্বের ১৮টি মিশ‌নে মৈত্রী দিবস পালিত হচ্ছে উল্লেখ ক‌রে হাইক‌মিশার ব‌লেন, আজ আমরা মৈত্রী দিবস উদযাপন করছি, কারণ এদিন ভারত এবং ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দিল্লি ও ঢাকা ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি প্রধান শহরে এ দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এত বড় পরিসরে অন্য কোনো দেশের স‌ঙ্গে যৌথভাবে এ ধরনের মাইলফলক উদযাপনের চেষ্টা আগে কোনো দেশ করেনি।

দোরাইস্বামী ব‌লেন, আজ থেকে দশ দিন পর আমরা সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটির ৫০ বছর উদযাপন করব, যখন লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর প্রতিনিধিত্বকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন খন্দকারের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণপত্রে স্বাক্ষর করেন।

এনআই/আরএইচ/ওএফ