নারীদের জন্য হয়রানিমুক্ত কর্মক্ষেত্র তৈরি করা ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সনদ ১৯০ অনুস্বাক্ষর করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে ওয়ার্কার্স রিসোর্স সেন্টার (ডব্লিউআরসি)।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংগঠনটি আয়োজিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি জানান ডব্লিউআরসির নারী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ফাহমিনা কাশেম মিশু।

সংগঠনের অন্যান্য দাবিগুলো হলো— কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে শ্রম আইন-২০০৬ সংশোধন করে সুনির্দিষ্ট ধারা যুক্ত করা; নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিয়ে একটি রোডম্যাপ করা; নারী শ্রমিকদের প্রাধান্য দিয়ে নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করা; সব প্রতিষ্ঠানে নারী শ্রমিকদের সন্তানের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র ও বেস্ট ফিডিং কর্নার প্রতিষ্ঠা করা; কারখানাগুলোয় জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; শ্রম আইনের ৩৩২ ধারায় নারীর প্রতি অশ্লীল ও অভদ্রজনিত আচরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা জেন্ডার সংবেদনশীল নয়। এছাড়া আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির পরিমাণও সামান্য। মাত্র ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, যা বাড়াতে হবে; কারখানাগুলোয় হয়রানি ও সহিংসতার ঘটনাগুলো কীভাবে শনাক্ত করা যায় ও তা রোধ করা যায়, সেলক্ষ্যে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে এবং সব ক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানির বিষয়টি শূন্য সহিষ্ণুতা দেখানো এবং এ লক্ষ্যে যৌন হয়রানি বিরোধী কমিটি গঠন করতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স রিসোর্স সেন্টার (ডব্লিউআরসি) নারী কমিটির চেয়ারম্যান সেহেলি আফরোজ লাভলী। আরও উপস্থিত ছিলেন— ডব্লিউআরসি চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিকুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদুল আলম রাজু, আইএলও এসডিআইআর প্রোজেক্টের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার জামিল অনসার, জেন্ডার অ্যান্ড ডাইভারসিটি কমিটির চেয়ারম্যান শাম্মিন সুলতানা প্রমুখ।

এমএইচএন/এসএসএইচ