ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদী দখলকারীদের তালিকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে অবৈধ দখল ও দূষণ রোধ এবং সীমানা নির্ধারণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একিউএম সোহেল রানা। তাকে সহযোগিতা করেন মুহাম্মদ রেজাউল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর তিতাস নদী দখলমুক্ত করতে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একিউএম সোহেল রানা।

আইনজীবী একিউএম সোহেল রানা বলেন, তিতাস নদী দখল নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনি নোটিশ দেয়। কিন্তু নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানি সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়নের বোর্ডের মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

‘ডুবোচর আবর্জনায় জীর্ণশীর্ণ তিতাস’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশ হয়। পত্রিকার ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৩০ নভেম্বর রিট দায়ের করা হয়।

এমএইচডি/এমএইচএস