সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও সাইবার নিরাপত্তা দেওয়া থেকে বিটিআরসিকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার অপরাধও বাড়ছে। এতে বাড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অস্থিরতা। সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সব কাজ কি বিটিআরসির করা উচিত?

এতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সাইবার নিরাপত্তা দেওয়া থেকে বিটিআরসিকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। কারণ ফেসবুক, ইউটিউবসহ অসংখ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিটিআরসির লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান নয়।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কমিশন কেবলমাত্র তার লাইসেন্সের প্রতিষ্ঠানগুলোর ও সেবা গ্রহণকারীদের নিয়ে কাজ করবে। এক সময় যেখানে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হতো মাত্র ৮০০ জিবিপিএস সেখানে এখন ব্যবহার হয় ৩ হাজার জিবিপিএস। মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজার এখন প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার।

দেশ চলতি মাসেই ফাইভ-জি তে পদার্পণ করবে। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক যেখানে প্রায় ১২ কোটি, সেখানে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় কয়েক হাজার।

বিটিআরসির নিজেদের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাহকদের সেবা প্রদান দিতেই হিমশিম খাচ্ছে। লাইসেন্স নেই এমন প্রতিষ্ঠান যাদের ব্যবহারকারীর সংখ্যা কোটি কোটি। এসবের দেখভাল করতে ইতোমধ্যে সরকারের ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টারসহ (এনটিএমসি) আরও অনেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার ইউনিট কাজ করছে। অবশ্য রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলার স্বার্থ রক্ষায় বিটিআরসি এসব প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

এমএইচএন/এমএইচএস