ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, আমরা একটা অস্বাভাবিক সময়ের মধ্যে আছি। এখন পৃথিবী চরম সংকটের মধ্যে চলে এসেছে। এটা করোনাভাইরাসের আক্রমণের সংকট নয়। এটা পুঁজিবাদের সর্বশেষ সংকট। 

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এখন মানুষকে বলা হচ্ছে অসামাজিক হও এবং মানুষকে বাঁচার জন্য অসামাজিক হতে হচ্ছে। অন্য মানুষদের থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে, মুখোশ পড়তে হচ্ছে, পরিচয় নিশ্চিহ্ন করতে হচ্ছে। আদিম যুগের অসহায় ও একাকিত্ব এবং ভীতির যুগে আমাদের ঠেলে দিচ্ছে এই পুঁজিবাদ। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এসব অনেক আগেই জানতেন। তিনি যখন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বলেছেন তখন তিনি জানতেন এটার ভেতরে পুঁজিবাদ রয়েছে। তিনি পুঁজিবাদের লড়াইটাই করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আজকে এই পৃথিবীতে পুঁজিবাদের চরম সংকট, ফ্যাসিবাদের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে মানুষ এই গ্রহতে বসবাস করতে পারবে কি না? মানুষ নয় কোনো প্রাণীই বসবাস করতে পারবে না। কারণ এই গ্রহের প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে। আর এসবের পেছনে রয়েছে পুঁজিবাদ। মওলানা ভাসানী এজন্যই পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন। কাজেই এখন পুঁজিবাদবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে এবং প্রত্যেক দেশেই এটা হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের চেয়ারম্যান আসিফ নজরুল বলেন, ‘ভাসানীকে অপ্রাসঙ্গিক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের বলা হয় পুরো বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন একজন ব্যক্তি। পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর মতো এত বড় একটি বাহিনী এবং রাজনৈতিক শক্তিকে কোনোভাবেই কি এককভাবে রুখে দেওয়া সম্ভব ছিল? অথচ ভাসানীসহ আরো কত মানুষের অবদান আছেন এই স্বাধীনতার পেছনে।’

আলোচনা সভায় মাওলানা ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, 'বাংলাদেশ বা আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের কথা প্রথম কোনো এক সম্মেলনে বলেছিলেন মাওলানা ভাসানী। তখন ওই সম্মেলনের মঞ্চ থেকে কিছু মানুষ আলাদা হয়ে আলাদা মিটিং করে বলার চেষ্টা করেছিলেন মাওলানা ভাসানী পাকিস্তান ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন।'

এমএইচএন/জেডএস