উত্তরাঞ্চলে সুগন্ধি ধানের বাণিজ্যিক চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেছেন, দেশের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নের ফলে সরু ও সুগন্ধি ধানের চাহিদা বেড়েছে। কালের বিবর্তনে শুধু পারিবারিক প্রয়োজনে নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সুগন্ধি ধান চাষ হচ্ছে। কারণ এই ধান চাষে সমান শ্রমে লাভ বেশি। তাই উচ্চফলনশীল সুগন্ধি ও প্রিমিয়াম জাতের বাণিজ্যিক আবাদ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্বাবধানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বেসরকারি সংস্থা এসেডস, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ এর উদ্যোগে ‘স্কেলিং আপ প্রিমিয়াম কোয়ালিটি রাইস ইন নর্দান রিজিয়ন অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রারম্ভিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, সোনালী ধান কৃষকের সোনালী স্বপ্ন, এ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলার মাঠ-ঘাট বছরের অধিকাংশ সময়ই সোনালী ধানে আবৃত থাকে। দেখে মনে হয় এ যেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরই স্বপ্নের সেই ‘সোনার বাংলা’। সুদীর্ঘ কাল থেকে গ্রাম বা শহরে ধনী কিংবা গরীব সকলের ঘরোয়া উৎসবে, অতিথি আপ্যায়নে সুগন্ধি ও প্রিমিয়াম চালের তৈরি নানান মুখরোচক খাবার আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। ঈদ, পূজা-পার্বনসহ নানা উৎসব ও আয়োজনে অতিথি আপ্যায়নে সুগন্ধি চালের তৈরি পোলাও, বিরিয়ানি, কাচ্চি, ফিন্নি, পিঠাপুলিসহ নানান মুখরোচক খাবার পরিবেশন বাঙালী সংস্কৃতির অংশ।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ মো. ইউসুফ রানা মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রির ফলিত গবেষণা বিভাগের প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু হানিফ, বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. দুলাল হোসেন এবং রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মণ্ডল। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ মো. সাখাওয়াত হোসেন (সুইট), চেয়ারম্যান, এসেডস, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ।
কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ফলিত গবেষণা বিভাগের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মো. রফিকুল ইসলাম। মূলপ্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ব্রির প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার, মুক্ত আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা।
বিজ্ঞাপন
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা, বেসরকারি সংস্থা এসেডসের কর্মকর্তারা। রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও কৃষক প্রতিনিধিরা।
আইএসএইচ