লঞ্চের কেবিন থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
বরিশালগামী লঞ্চের কেবিন থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী মো. মাসুদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চের কেবিন থেকে শারমিন আক্তার (২৪) নামে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে পুলিশ। নিহত শারমিন আক্তার ঢাকার তেজগাঁও কুনিপাড়া এলাকার মো. এনায়েত হোসেন ফকিরের মেয়ে।
লঞ্চের লস্কর মো. সোহাগ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে দুই তরুণ–তরুণী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কুয়াকাটা-২ লঞ্চের নিচতলার তার (লস্কর) থাকার একটি কেবিন ১ হাজার ৮০০ টাকায় ভাড়া নেন। লঞ্চটি ছাড়ার সময়ও তারা দুজন একসঙ্গে ছিলেন। কিন্তু পরদিন সকালে লঞ্চটি বরিশাল নৌ-বন্দরে নোঙরের পর সব যাত্রী নেমে গেলেও ওই কেবিনের যাত্রী বের না হওয়ায় লঞ্চ স্টাফরা কেবিনের দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। কিন্তু কেবিনের দরজা বন্ধ ছিল এবং ভেতর থেকে কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্টাফদের কাছে থাকা অতিরিক্ত চাবি দিয়ে কেবিনের তালা খুলে ভেতরে ওই নারীর মরদেহ দেখতে পান। সঙ্গে থাকা তরুণকে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ লঞ্চে গিয়ে নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
নৌ-পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান, নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তি পালিয়েছে। তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
জেইউ/এসকেডি