মন্ত্রিসভার বৈঠক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডব্লিউএইচও) অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার শর্ত অনুযায়ী চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের বিদেশে স্বীকৃতিতে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করতে একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
 
রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন, ২০২১’ শীর্ষক আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং তাদের সংশ্লিষ্ট যত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থা আছে, তাদের একটা সিদ্ধান্ত আছে যে, ২০২৪ সালের মধ্যে সবাইকে একটা মিনিমাম সিস্টেমের মধ্যে, অ্যাক্রেডিটেশনের মধ্যে আসতে হবে।

তিনি বলেন, যদি কোনো দেশ সেই অ্যাক্রেডিটেশনের মধ্যে না আসে, তাহলে সেই দেশের ডাক্তার কিংবা কোনো হেলথ টেকনিক্যাল লোকজন অন্য দেশে রিকগনাইজড (স্বীকৃত) হবে না। তারা বিদেশে চাকরি করতে যেতে পারবেন না। শিক্ষার্থীরা অন্য দেশে গিয়ে শিক্ষাও নিতে পারবেন না।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, উন্নত দেশে যদি আমাদের মেডিকেল শিক্ষা বা পেশাকে স্বীকৃতি দিতে হয়, কিংবা দেশে এমবিবিএস শেষে শিক্ষার্থীদের অন্য দেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে হয়, তবে একটি অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের আওতায় স্বীকৃতি নিতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে। খসড়া আইন অনুযায়ী একটি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল থাকবে।

তিনি বলেন, কাউন্সিল অ্যাক্রেডিটেশনের বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে এবং নীতিমালা প্রণয়ন করবে। এখানে ১৯ সদস্যের একটি কাউন্সিল থাকবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের অ্যাক্রেডিটেশনের ক্রাইটেরিয়া বা মানদণ্ড ফিক্সড করতে হবে। এমন মানদণ্ডে আমাদের অ্যাক্রেডিটেশন দিতে হবে, যা ইন্টারন্যাশনালি স্বীকৃত হবে।
 
এসএইচআর/আরএইচ